তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'নাটক জীবনের প্রতিচ্ছবি এবং সভ্যতাকে এগিয়ে নেওয়ার বাহন'। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় সদস্য ও নাট্যকার কানাই চক্রবর্তী রচিত 'আনন্দের মুক্তি চাই ও অন্যান্য নাটক' শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'নাটক মানুষের জীবনের কথা বলে, মানুষের কথা বলে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নাটককে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। নাটককে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। দেশ গঠনের ক্ষেত্রে আমরা বস্তুগত উন্নয়নের কথা চিন্তা করি। ভৌগলিক অবকাঠামো দিয়ে শুধু দেশের বস্তুগত উন্নয়ন হয়। মানুষের চেতনার উন্নয়ন হয় না। তাই, মানুষের উন্নত জাতি গঠনে মানুষের চেতনার উন্মেষ ঘটাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নাটকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ'।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও তেমনি দেশের ঐতিহ্য-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাকে লালনে বদ্ধপরিকর'।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় নাট্যকার ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কানাই চক্রবর্তী ও মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের তিনযুগব্যাপী নাটক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন। মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা সদস্য এডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার আতাউর রহমান, কবি আসাদ মান্নান, অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, ঝুমঝুমি প্রকাশনীর প্রকাশক শায়লা রহমান তিথি সভায় বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও সূচনা বক্তব্য রাখেন নাট্যকার ও সাংবাদিক কানাই চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি মীর জাহিদ হাসান।
আরও পড়ুন: মুসলিম-খ্রিস্টান বৈরিতা নেই শ্রীলঙ্কায়
উল্লেখ্য, আগামী জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পূর্ণ করবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে নাট্যদলটি বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার প্রকাশিত হলো দলটির সদস্য, সংগঠক, নাট্যকার সাংবাদিক কানাই চক্রবর্তী রচিত গ্রন্থ ‘আনন্দের মুক্তি চাই ও অন্যান্য নাটক’। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি