বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা কিনছেন নারীরা

আপডেট : ২৫ মে ২০১৯, ২৩:১৩

আধুনিক নারীদের ঈদে কেবল পোশাক হলেই চলে না। তার সঙ্গে চাই মানানসই গহনা। এরই মধ্যে যাদের পোশাক কেনা শেষ তারা তার সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন গহনা। তবে সোনা বা রূপার গহনা খুব কমেই কিনছেন। পছন্দের তালিকায় আছে বিভিন্ন মেটালের বা কাঠ-বাঁশ-পুঁতি কিংবা ইমিটেশনের গহনা। আর সেদিকটা মাথায় রেখে প্রতিটি মার্কেটের একটি ফ্লোর বা বেশ কিছু দোকান থাকে গহনার। সেখানে থরে থরে সাজানো থাকে গহনা। মেটালের গহনার জন্যে বিখ্যাত নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, রাপা, মেট্রো শপিংমল, জেনিটিক প্লাজা, টোকিও স্কয়ার, সীমান্ত স্কয়ারের মতো মার্কেটগুলো। এসব মার্কেটে আরো মিলছে গোল্ডপ্লেট ও সিটিগোল্ডের নানা ডিজাইনের গহনা।

ঈদের পরেরদিনই নীলার ভাইয়ের গায়ে হলুদ ও তার একদিন পরে বিয়ে। সেজন্যে তারা তিন/চারজন মিলে দল বেঁধে এসেছে গহনা কিনতে। নীলা বলেন, আমরা বউয়ের জন্যে গহনা কিনেছি। এরপর নিজেদের জন্যে শাড়ি-জামার সঙ্গে মিলিয়ে গহনা কিনবো। সেসব গহনা হতে পারে মেটালের কিংবা ক্রিস্টাল পুঁতি। তবে এন্টিক ও সিলভার রঙের গহনাই কেনার ইচ্ছে আছে বলে জানান নীলা ।

গহনা বিক্রেতা আহসান হাবিব বলেন, আগে গোল্ড কালার গহনা বেশি বিক্রি হতো এখন বরের পোশাক আর নতুন বউয়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরা ছাড়া তেমন একটা গোল্ড কালার গহনা বিক্রি হয় না। যে কারণে আমাদের দোকানে এসব গহনার চাহিদাও কম। আমাদের স্টোনের সিলভার এবং এন্টিক গহনা বিক্রি হয় বেশি। মেট্রো শপিং মলে কথা হয় কানের দুল কিনতে আসা শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ১২০ টাকায় দুইজোড়া কানের দুল কিনেছি। আর ঈদ মেলা থেকে ১০০ টাকায় স্টোনের একজোড়া টপ কিনেছি।

তিনি বলেন, এখন অনেক দোকান হওয়ায় এবং নারীরা লাগেজে করে দেশের বাইরে থেকে গহনা এনে বিক্রি করায় মেটালের গহনার দাম কিছুটা কমেছে। আগে এসব দুলের দাম ছিল ৩০০ টাকার উপরে, এখন সেটা পেলাম ১২০ টাকায়। দেশের ফ্যাশন হাউজগুলোতে আনা মেয়েদের কানের দুল, গলার মালা, হাতের চুড়ি বা বালা, চুলের ক্লিপ ইত্যাদি সবকিছুতেই উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রঙিন মেটাল, ইমিটেশন, মাটি, কাঠ, বিভিন্ন রকম নাইলন ইত্যাদি। কয়েকটি উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে গয়না। এসব ইমিটেশন গয়নার সঙ্গে ছোট বড় নানা আকারের পুঁতি, পাথর ও বিডস বসানো এবং হালকা মিনা করা। হাতের মেটালের চিকন চুড়ি চলছে বেশি। এসব চুড়ি একসঙ্গে দুই ডজন ও একসঙ্গে চার ডজনের সেটে পাওয়া যাচ্ছে। তবে মার্কেট ভেদে এসব চুড়ির দাম ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। পুঁতির কয়েকটি মালা একসঙ্গে কিংবা একটি চেইন, একটি পুঁতির মালা. একটি ক্রিস্টালের মালার সমন্বয়ে একটি ব্রেসলেট। এসব ব্রেসলেটের দাম পড়ছে ২০০টাকা থেকে ৫৫০টা পর্যন্ত। বুটিক শপ রঙ-এ ২৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট ও লম্বা মালা।