বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিএনপির র‌্যালিতে পুলিশের বাধা, গ্রেফতার ১০

আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ১৬:৪৫

অনুমতি না থাকায় ‘নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসের’ র‌্যালি করতে পারেনি বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার রাতে দলটির দফতর থেকে র‌্যালির কথা জানিয়ে বলা হয়, এতে সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু সকাল ১০ থেকে সর্বোচ্চ নেতাদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-সচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

বেলা ১১টার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে র‌্যালির জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। এদিকে পল্টন থানা সূত্র জানিয়েছে বিএনপি অফিসের আশপাশ থেকে ৮/১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস জানিয়েছেন, র‌্যালির অনুমতি ছিল না। তাই কমিশনারের নির্দেশে র‌্যালি করতে দেওয়া হয়নি। পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিএনপি নেতারা।

র‌্যালি অনুমতি না দেওয়ায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই দিবস পালন করেছে। বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমাদের এই কর্মসূচি পালন করতে দিল না। বললো অনুমতি নেই। আমরা অনুমতির চিঠিও পাঠালাম। তারপরেও এটার অনুমতি দিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ এটা প্রচারিত হলে সরকার লজ্জা পাবে। কারণ আজকে যা ঘটছে, নিপীড়ন, নির্যাতন, উৎপীড়ন, দিনের পর দিন রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। যারা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি, জিএস ছিলেন কেউ পুলিশি নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি।

রিজভী অভিযোগ করেন, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করেছে। নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।

ইত্তেফাক/জেডএইচ