দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, 'সমাজে সাইবার ক্রাইমের মতো সাইবার দুর্নীতিও রয়েছে।' শনিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, এ জাতীয় দুর্নীতি দমনে বিচারিক কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘সাক্ষ্য আইন-১৮৭২’ যুগোপযোগী করার জন্য দুদক সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। এই আইনটি সংশোধন করা না হলে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যেসব দুর্নীতি হচ্ছে, সেসব মামলা পরিচালনা করতে কমিশনকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই এ কথা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রতিরোধে নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধ অনুবিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি টাইম-বাউন্ড কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি মনিটরিং এবং এভালুয়েশন করতে হবে। কারণ দুর্নীতি প্রতিরোধ দুদকের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি ম্যান্ডেট।'
তিনি আরও বলেন, '২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।' প্রমাণিত উৎকৃষ্ট অনুশীলনসমূহ অনুকরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই কমিশন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৮ হাজার সততা স্টোর গঠন করছে বলেও উল্লেখ করেন দুদক চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ও ট্রাকের চাপায় নিহত ৬
কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, 'দেশের সরকারি প্রতিটি ওয়েব সাইটে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ প্রদর্শিত হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ও তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব খন্দকার সাদিয়া আরফিন জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে দুদকের করণী সম্পর্কে একটি পেপার উপস্থাপন করেন। দুদকের ৮টি বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ও ২২ টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকরা কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব খন্দকার সাদিয়া আরফিন, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, দুদকের প্রতিরোধ অনু-বিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমমুদ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনু-বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি