ভারতের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পদকের জন্য এ বছর মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পদক হস্তান্তর করা হবে। এই অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দ আবুল হোসেন-এর লেখা 'বিদ্যাসাগর' বইটির মোড়কও উন্মোচন করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগরের প্রতি সম্মান জানিয়ে মেদিনীপুরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এ পদকটি প্রবর্তন করে। অগাধ পান্ডিত্যের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেছিলেন।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কার গ্রহণের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেন কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান, নারীশিক্ষার প্রসার ও শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, সর্বোপরি, শিক্ষার জন্য সুন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনকে এ পদকটি প্রদান করা হচ্ছে। যারা নিজস্ব ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখিয়েছেন, শিক্ষার প্রসারে কাজ করেছেন এবং যারা নিজ দেশের জন্য সেরাটা অর্জনে চেষ্টা করেছেন তাদের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : বরিশালে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন শেরে বাংলা পদক, মোতাহার হোসেন পদক ও ড. ওয়াজেদ মিয়া আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক ও জাতীয় স্বীকৃতিসহ ২২টি পদক পেয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সার্বিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আমেরিকার বায়োলজিক্যাল ইনস্টিটিউট তাকে ‘ম্যান অব দ্য মিলিনিয়াম’ পদকে ভূষিত করে। বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রসারে অবদানের জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সংহতি সংসদ কর্তৃক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’, অল ইন্ডিয়া রাইটার্স কনফারেন্স কর্তৃক ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পুরস্কার এবং শিক্ষা ও সমাজসেবারত্ন’ উপাধি এবং কলকাতা লৌকিক গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক সম্মাননা ও স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ইত্তেফাক/কেআই