আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ চার সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা। পদপ্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়েছেন। কার্যালয়গুলোতে এখন উত্সবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আগামী ২ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ২৩ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই এসব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগরের দুই অংশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এখন প্রতিদিন বিকাল হলেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর অফিস উত্সবমুখর হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পদপ্রত্যাশী অনেকেই কোণঠাসা ছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীসহ নিজ নিজ বলয়ে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছেন তারা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আড্ডা ও শোডাউন দিতে শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। এছাড়া এত দিন সংগঠনগুলোর যেসব নেতাকর্মী শীর্ষ নেতাদের সুনজর কাড়তে সঙ্গম হননি, তারাও সক্রিয় হতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন জমজমাট। দুই অফিসের সামনে টানানো হয়েছে অসংখ্য ব্যানার। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতাদের সঙ্গে কেউ কেউ যোগাযোগ করছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুনজর পেতে বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নিচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজেদের অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছেন অনেকে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে নেতাকর্মীদের খুব বেশি উপস্থিতি দেখা যায়নি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। তবে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরদিনই জমজমাট হতে শুরু করে যুবলীগের অফিস। শুক্রবার যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পুরো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল চোখের পড়ার মতো।
সম্মেলন সামনে রেখে যুবলীগের মতো স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিসেও ভিড় অনেক বেড়েছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল এই অফিসে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় যোগ্য অনেক নেতাই কোণঠাসা হয়ে আছেন। সম্মেলনের আভাস পেয়ে তাদের তত্পরতাও বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী শেখ সোহেল রানা টিপু। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলাপকালে তিনি ওয়ান-ইলেভেনের সময় সামরিক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে প্রথম মিছিলটি বের করার কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হয় না প্রায় এক যুগ। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর মহানগর নেতারাও উজ্জীবিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল জানান, আমরা চাই সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব আসুক। মহানগর উত্তর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বিপুল গতকাল কয়েক শ’ নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন।