যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত। শুক্রবার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ গাইডলাইনে এ এমন বক্তব্য দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বায়ুবাহিত হয়ে করোনা সংক্রমণের দিকটি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সিডিসি জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ছয় ফুটেরও বেশি দূরে থাকা কোনও ব্যক্তি বায়ুবাহিত করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। বিশেষত, হাঁচি, কাশির সময়ে যে সূক্ষ্ম ড্রপলেট, অ্যারোসল উড়ে আসে, তার মাধ্যমে হতে পারে সংক্রমণ। নাক, মুখ এমনকি চোখের মাধ্যমেও তা দেহে প্রবেশ করতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন স্কুল অব পাবলিক হেলথের এপিডেমোলজিস্ট ডেভিড মাইকেলসের ভাষায়, ‘এতদিন সবাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। কিন্তু বায়ুবাহিত অ্যারোসলের মাধ্যমে যেভাবে সংক্রমণ ঘটে, সে বিষয়ে সে রকম আলোচনা বা সতর্কতা নেওয়া হয়নি।’
ড. মাইকেলস আরও জানিয়েছেন, হাঁচি বা কাশির পর সূক্ষ্ম অ্যারোসলের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। বিশেষত জানালা-দরজা খোলা নেই এমন ঘরে এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে ঘরে কেউ না থাকলেও কয়েক ঘণ্টা আগেও কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সেখানে গিয়ে থাকলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের গবেষক ডোনাল্ড মিল্টনের মতে, ভাসমান করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য আরও ভালো উপায় প্রয়োজন। তার ভাষায়, ‘আমাদের আরও বেশি সুরক্ষিত ব্যবস্থা প্রয়োজন। সার্জিকাল মাস্ক পরলেও সেটি কখনোই সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। গাল-নাকের ফাঁক দিয়ে সহজেই বাতাসে ভাসমান ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।’
ইত্তেফাক/এমআর