খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জন করোনা পজিটিভ এবং ২ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
শুক্রবার সকালে করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘করোনায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায় ও একজনের বাড়ি সাতক্ষীরায়।’
রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১০০ শয্যার বিপরীতে ১৪৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সে কারণে শয্যা খালি সাপেক্ষে নতুন রোগী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, ‘এখানে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। অতিরিক্ত রোগী থাকায় শয্যা খালি না হওয়া পর্যন্ত নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। শয্যা খালি হলে নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, খুমেক করোনা ইউনিটে বর্তমানে রেড জোনে ৬১ জন, ইয়েলো জোনে ৩০, হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ৩২ জন ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২০ জন চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ১৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০৯ জন খুলনার বাসিন্দা, বাগেরহাটের ২৪ জন, সাতক্ষীরার সাতজন, যশোরের ছয়জন ও নড়াইল দুইজন। এর মধ্যে খুলনা জেলার ২৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত ১০৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ বলেন, করোনা ইউনিটে এখন শয্যা খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি চলছে। তবে রোগী ভর্তি বন্ধ নেই। আজ করোনার জেলা কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইত্তেফাক/এমআর