শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনার উৎসের খোঁজে কম্বোডিয়ার বাদুর গবেষকরা

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:০৭

করোনাভাইরাস মহামারী বোঝার জন্য কম্বোডিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করছেন গবেষকরা। এক দশক আগে ওই অঞ্চলে এই প্রাণীটির মধ্যে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল।

২০১০ সালে লাওসের সীমান্তবর্তী স্তাং ত্রাইং প্রদেশে হর্সশু বাদুর থেকে দুটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলো  নমপেনের ইন্সটিটিউট পস্তুর দ্যু কম্বোজের (আইপিসি) ফ্রিজে রাখা আছে। গত বছর নমুনাগুলোর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, যে করোনাভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষকে মেরে ফেলেছে হর্সশু বাদুর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো তার নিকট আত্মীয়। 

A researcher with the Institut Pasteur in Cambodia examines a bat during a field mission. Photo: Institut Pasteur in Cambodia

আইপিসি গবেষকদের আট সদস্যের একটি দল এক সপ্তাহ ধরে হর্সশু বাদুরগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের প্রজাতি, লিঙ্গ, বয়স ও অন্যান্য বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখছেন। ফিলিপাইনেও একই ধরনের একটি গবেষণা চলছে। গবেষক দলটির মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়কারী হাউরি হোম বলেন, “আমরা আশা করছি এই গবেষণার ফলাফল কোভিড-১৯ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে বিশ্বকে সাহায্য করতে পারবে।” এই ভাইরাসগুলো বাদুরের মতো যেসব প্রজাতিতে থাকে সেগুলোতে সাধারণত কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না, কিন্তু মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীতে ছড়ালে ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। 

Cambodia Bat Researchers on Mission to Track Origin of Covid-19

আইপিসির ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ড. ভেসনা ডুয়ং জানান, তার ইন্সটিটিউট বাদুরবাহিত এই ভাইরাসটির উৎস ও বিবর্তনের সূত্র পেতে গত দুই বছরে এ ধরনের চারটি অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলেন,“ ভাইরাসটি এখনও সেখানে আছে কিনা এবং এটি কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে তা বের করতে চাই আমরা। ” বাদুর থেকে ইবোলা ও অন্যান্য করোনাভাইরাস যেমন, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু ভেসনা ডুয়ং বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য মানুষই দায়ী কারণ তারা প্রাকৃতিক পরিবেশে হস্তক্ষেপ করে বিভিন্ন প্রাণীর বাসস্থান ধ্বংস করেছে। 

Cambodia bat researchers on mission to track origin of COVID-19 | World  News,The Indian Express

তিনি বলেন, “আমরা যদি বন্যপ্রাণীদের কাছে যাওয়া চেষ্টা করি, তাহলে তাদের বাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।”  বন্যপ্রাণী বাণিজ্য কীভাবে এতে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে তা দেখাও ফরাসি অর্থায়নে চালিত এই গবেষণা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বলে জানান আইপিসির ভাইরোলজি ইউনিটের গবেষণা প্রকৌশলী জুলিয়া গিলবু। রয়টার্স।

ইত্তেফাক/এএইচপি