শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেসরকারিভাবেও টিকা বিক্রি করবে বেক্সিমকো, জানা গেলো দাম

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:১১

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে সেখান থেকে বাংলাদেশে টিকা আনছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। যা সরকারি ব্যবস্থাপনায় জনগণকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এর বাইরে বেসরকারিভাবেও একই প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা এনে বিক্রি করবে কোম্পানিটি।

জানা গেছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কিনতে যাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। যা সরকারি কর্মসূচির বাইরে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য প্রতি ডোজ বাবদ সেরামকে ৮ ডলার করে দিতে হবে তাদের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটিকে মোবাইল ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্লিখিত তথ্য নিশ্চিত করেন বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজার।

তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১৩ দশমিক ২৭ ডলার বা ১ হাজার ১২৫ টাকার মতো।

বেক্সিমকোর এ কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে ১০ লাখ ডোজ টিকার জন্য চুক্তি হয়েছে। আরো ২০ লাখ ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

রাব্বুর রেজার আরও বলেন, বেক্সিমকো বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য সরবরাহ করে যাবে। চলতি মাসের শেষের দিকেই সেরাম ইনস্টিটিউট সরকারের কাছে ও বাজারে বিক্রির জন্য টিকা সরবরাহ শুরু করবে। যারা টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক, বিরতি দিয়ে তাদের মাঝে ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ বিতরণ করা হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, সেরাম প্রতিডোজ করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ৪ ডলার (৩৪০ টাকা) করে নিচ্ছে। বাংলাদেশকে দেয়া এই দাম ভারতে দেয়া ভ্যাকসিনটির দামের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত তিনটি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রয়টার্স। সেরাম ভারতে দুইশ রুপি বা ২.৭২ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ টাকা) প্রতিডোজ করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করবে। আর বাংলাদেশের কাছে প্রতিডোজ ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ৪ ডলার বা ৩৪০টাকায়।

ইত্তেফাক/টিআর