শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাংবাদিক আতিক হত্যা: মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৭

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিককে হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি হলেন, শাকিল সিকদার। 

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকান।

আজ রবিবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল হক জহির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রায় বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।

২০১৪ সালের ২৪ জুন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় রায় দেন নিম্ন আদালত।

রায়ে শাকিল সিকদারকে ফাঁসি দেন নিম্ন আদালত। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে। এছাড়াও আবদুল্লাহ মো. ইবনে আলী সরকার ওরফে নাহিদ ও মো. ফোরকানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নাহিদের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার রামনগরহাটি গ্রামে এবং ফোরকানের বাড়ি পটুয়াখালির কেউরাবুনিয়া গ্রামে।

পলাতক বরগুনার আমতলি উপজেলার কলাগাছি গ্রামের মো. খোকনকে তিন বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। এ সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৯ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মত কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন আতিক। বড়মগবাজারের ১৮০/৩ নয়াতলায় থাকতেন তিনি। পথে ঢাকা-টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের মোড়ে কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সন্ত্রাসীরা আতিকের পেটে দুটি গুলি করে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আতিক মারা যান। 

আরও পড়ুন: এবার সালমানের সঙ্গে টক্কর দিতে নামলেন অক্ষয়!

পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আতিকের বড় ভাই আবুবকর সিদ্দিক রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আবুল খায়ের ৯ আগস্ট ২০০৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবর বিচারিক আদালত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বাসস

ইত্তেফাক/কেকে