খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলায় গৃহবধূ কোহিনুর বেগমকে যৌতুকের দাবিতে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন: ভারতে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশের মেয়েরা
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় দীঘিনালার রশিক নগর গ্রামের বাড়িতে মো. শাহ আলম তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২১ দিন পর ওই বছরের ১ অক্টোবর কোহিনূর বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. আলম মিয়া বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পর পর আসামিকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আড়াই মাসের মধ্যে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট বিধান কানুনগো বলেন, ‘এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
ইত্তেফাক/এএএম