শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বান্ধবীকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে চাঁদা দাবি

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:৩৯

ছাত্রাবাসে বেড়ানোর কথা বলে বান্ধবীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুর রহমান সারদকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সেলিম রেজা শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মাহফুজুর রহমান সারদ রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র।

নগরীর মতিহার থানার (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুর রহমান সারদ (২২) তার বান্ধবী, রাবির এক ছাত্রীকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকায় তার মেসে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সে তার বন্ধু ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশালকে দিয়ে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করায়। পরে তারা ধর্ষিতা ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা ঐ ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীকে তারা ছেড়ে দেয়।

এরপর ঐ ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানান এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর মতিহার থানায় ধর্ষণ ও ভিডিও করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুর রহমান সারদ, প্লাবন তালুকদার এবং রাফসানকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গত শুক্রবার রাতে সারদের দুই বন্ধু মতিহার থানার কাজলা এলাকার জীবন ও জয়কেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জীবনের কাছ থেকেও ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। জীবন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সারদের কথামতোই তারা ধর্ষণ দৃশ্যের ভিডিও রেকর্ড করেছিল। এরপরই সারদকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক আসামির দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলার অপর আসামি বিশাল এখনো পলাতক। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মতিহার থানার ওসি।

ইত্তেফাক/এমআর