মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩০

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালত বলেছে, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত আসামি। একজন সাধারণ ব্যক্তি আদালতে যে ধরনের আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাবেন তার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। তিনি জেলকোড অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবেন।

আদালত আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই তারা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম নন। কিন্তু খালেদা জিয়া অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্টের বিষয়ে কোনো অনুমতি দেননি। আমরা মনে করি তিনি সম্মতি দিলে তার চিকিৎসা সেবা শুরু হতে পারে। অতএব জামিন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে তার কোনো সারবত্তা নেই। আবেদনটি খারিজ করা হলো।’

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

দুর্নীতির দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এর আগেও তিন দফা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিন। এ মামলায় খালেদার জামিন আবেদন নাকচ করে গত ১২ ডিসেম্বর এক আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিল, বিএনপি চেয়ারপারসনের সম্মতি থাকলে বিএসএমএমইউ এর মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরো পড়ুন: সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য: স্পিকার

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই মাসের মাথায় নতুন করে জামিন আবেদন করার পাশাপাশি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দিতে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের প্রতি নির্দেশনা চান হাইকোর্টের কাছে।

এই প্রেক্ষাপটে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি করে বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিয়ে থাকলে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, শুরু হয়ে থাকলে সর্বশেষ কী অবস্থা- তা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী বিএসএমএমইউ এর পাঠানো প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তা পড়ে শোনান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ও প্রতিস্থাপনজনিত হাঁটুর ব্যথায় (অস্টিও-আর্থরাইটিস) ভুগছেন। অন্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকালেও অস্টিও-আর্থরাইটিসের ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ শুরুর বিষয়ে তিনি সম্মতি দেননি। এমনকি সেই চিকিৎসকার জন্য যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার, সেগুলোও করা যাচ্ছে না।

ইত্তেফাক/এএম/এএএম