দেশের অধস্তন আদালত একদিনে সাড়ে তিন হাজার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছে। চার হাজার ৬৬৪ টি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার অধস্তন আদালতের বিভিন্ন ভার্চুয়াল কোর্ট ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানি নিয়ে এই জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেয়। আজ রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান।
গত ১০ মে অধস্তন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপরই অধস্তন আদালতের কোর্ট গুলোতে শুধু জামিন শুনানি করছেন বিচারকরা।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ মে থেকে আইনজীবীরা ই-মেইলের মাধ্যমে অধস্তন আদালতগুলোতে জামিনের দরখাস্ত দাখিল করছেন। আটটি বিভাগের জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, শিশু আদালত, চিফ জুডিসিয়াল ও চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত চার দিনে ১০ হাজার ৭১২ টি জামিনের আবেদন দাখিল করেছেন আইনজীবীরা। দাখিলকৃত আবেদনের মধ্যে খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, চুরির মামলাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। এসব আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ৬ হাজার ৪২৫ জনকে জামিন দিয়েছেন বিচারকরা। জামিনপ্রাপ্তদের অধিকাংশই কারামুক্তি পেয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পায় আইইডিসিআর। এরপর গত দুই মাসে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাসে যাতে বন্দিরা আক্রান্ত না হন সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে অধস্তন আদালতের বিচারক ও কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কারাগার থেকে আসামি হাজির না করে জামিন ও মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার। পরে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের ফুলকোর্ট সভায় আদালতের বিচার কাজে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপরই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচার কাজের জন্য উচ্চ ও নিম্ন আদালতের বিচারপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইত্তেফাক/কেকে