শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চিকিৎসায় অনীহা দেখালে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার আদেশ স্থগিত

আপডেট : ১৬ জুন ২০২০, ১৮:১৩

করোনাকালে গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়া এবং তাতে ওই রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশসহ হাইকোর্টের সাতটি নির্দেশনা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে দশটি নির্দেশনার মধ্যে তিনটি নির্দেশনা বহাল রেখেছে আদালত।

এগুলো হচ্ছে, করোনাকালে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রতিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল, আইসিইউ-এ চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ মাত্রাতিরিক্ত বা অযৌক্তিক ফি আদায় না করার বিষয়ে মনিটরিং, অক্সিজেন সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য এবং রিফিলিংয়ের মূল্য র্নির্ধারন করা। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

সোমবার পৃথক চারটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নের্তৃত্বাধীন একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ করোনাকালে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে দশ দফা নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনায় হাইকোর্ট বলেছে, প্রতিদিনই গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা। সেজন্য কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনীহা দেখালে এবং তাতে ওই রোগীর মৃত্যু ঘটলে তা অবহেলা জনিত মৃত্যু হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশপাশি এ ধরনের ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে কোভিড-১৯  ও নন কোভিড সব রোগীকে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে মনিটরিং সেল গঠন, আইসিইউ ব্যবস্থাপনাকে জবাবদিহিমূলক করা, কোন হাসপাতালে আইসিইউ-তে কত জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং কতটি আইসিইউ শয্যা কি অবস্থায় আছে তার আপডেট প্রতিদিনের প্রচারিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে রাখা, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ রিকুইজিশন করা ইত্যাদি।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। 

আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানি করেন। পরে মুরাদ রেজা জানান, আমরা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে তিনটি নির্দেশনা ছাড়া বাকিগুলো স্থগিত করে দিয়েছে চেম্বার আদালত।

ইত্তেফাক/কেকে