বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ময়ূরের মালিক ৩ দিনের রিমান্ডে

আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২০, ১৯:৪৪

রাজধানীর শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিং বার্ড ডুবে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ‘এমভি ময়ূর-২’ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হামিদ ছোয়াদকে (৩৩)  বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। ছোয়াদ ময়ুর লঞ্চ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সি হর্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান। ছোয়াদকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে। তাকে  জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আদালতের একজন সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছোয়াদকে হাজির করা হয়। এ সময় তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফরিদা পারভীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর কলাবাগানের সোবহানবাগ এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ‘এমভি ময়ূর-২’ এর মালিক মোসাদ্দেক  ছোয়াদকে গ্রেফতার করে সদরঘাট নৌ পুলিশের একটি দল।  

এদিকে বৃহস্পতিবার লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দেন। 

নৌ পুলিশের এসপি (ঢাকা অঞ্চল) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকী ৫ আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।  

গত ২৯ জুনের মর্নিংবার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ৭ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করে নৌপুলিশ। মামলার বাদী হয়েছেন নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম। মামলার এজহারভূক্ত আসামীরা হলেন- মোসাদ্দেক হামিদ ছোয়াদ (৩৩), লঞ্চের দ্বিতীয়  শ্রেণির মাস্টার মো. আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন (৫৪), ইঞ্জিন চালক শিপন হাওলাদার (৪৫), দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার শাকিল হোসেন (২৮), সুকানী নাসির মৃধা (৪০) ও হৃদয় (২৪)। এজহারে আসামীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবিয়ে দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির অভিযোগ আনা হয়।  

মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ২০ দফা সুপারিশসহ সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে ময়ূর-২ লঞ্চের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে দায়ী করা হয়েছে।


ইত্তেফাক/ইউবি