ভোটের দিনগত রাতে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে নারীকে গণধর্ষণ এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাত আসামির প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার সকালে জেলার ২নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নব মিতা গুহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- ঘটনার মুলহোতা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন, পরিকল্পনাকারী হাছান আলী ভুলু, প্রধান আসামি মো. সোহেল, স্বপন, বেচু, বাদশা আলম বাসু ও জসিম উদ্দিন।
এদিকে ভোররাতে এ মামলার ৯ নম্বর আসামি ফকির আহমদের ছেলে সালাহ উদ্দিনকে ফেনী জেলার সুলতানপুর এলাকা থেকে এবং পরে বিকালে মামলার ৭ নম্বর আসামি মৃত সিদু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবুলকে চরজব্বার থানার পরিষ্কার বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মো. রফিকের ছেলে মুরাদকে সেনবাগ উপজেলার একটি ইটভাটা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ছয় ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো চারজনসহ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা পঞ্চম মোহাম্মদের পদত্যাগ
একই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদেরকেও এ মামলার আসামি করা হয়। এ ঘটনায় রুহুল আমিনকে দলের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতার মুরাদকেও আসামি হিসেবে এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিপিএম-পিপিএম সেবা জানান, দুপুরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এজাহারভুক্ত পলাতক অপর তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ