মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ওসিসহ ৩ পুলিশকে রিমান্ডে পেয়েছে র‌্যাব

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২০, ০১:৩১

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় ওসিসহ ৩ পুলিশকে রিমান্ডে পেয়েছে র‌্যাব।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, সিনহা রাশেদকে গুলি করা ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিত। 

তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাবের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ নির্দেশ দেন। 

একই সঙ্গে র‌্যাবকে বাকি চার আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। তারা হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়া।

পলাতক আসামিরা হলেন- এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।  তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে একই আদালত। 

সিনহা রাশেদের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বুধবার কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা করেন।

এরপর টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজারে নেওয়া হয়। এর আগে ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। 

আর লিয়াকতসহ অপর ছয় আসামিকে সোয়া ৪টার দিকে আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে সব আসামিকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে তোলা হয়। পরে শুনানি শুরু হয়।

৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। 

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। 

তদন্তের স্বার্থে রবিবার টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ সবাইকে প্রত্যাহার করা হয়। আর হত্যা মামলা হওয়ার পর বুধবার ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করা হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচ