মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কারাফটকে ভিকটিমের সম্মতিতে ধর্ষকের সঙ্গে হবে বিয়ে, মিলবে জামিন

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০১:১৪

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন দিলীপ। ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে আর বিয়ে করতে রাজি হননি তিনি। এ অবস্থায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় ঐ আসামির যাবজ্জীবন দন্ড হয়। ওই দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চেয়েছেন

জামিন আবেদনে বলেছেন, জামিন পেলে তিনি ভিকটিমকে বিয়ে করবেন। এতে সম্মতি রয়েছে ভিকটিমের। তবে হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে কারাফটকে ভিকটিমের সঙ্গে আসামির বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহীর জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

ভিকটিমের পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস.এম শাহেদ চৌধুরী ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সিতানাথের ছেলে দিলীপের সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে এই সম্পর্ক দৈহিক মেলামেশায় গড়ায়। এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু দিলীপ তাকে আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হলেও তাতে কোন ফল আসেনি।

২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর মেডিকেল পরীক্ষায় মেয়েটি গর্ভবতী এটা প্রকাশ পায়। ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ি থানায় করেন ধর্ষণের মামলা। এ মামলায় ২০১২ সালের ১২ জুন দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। রায়ে বলা হয়, যখন ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হন তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

এরপর থেকে কারাগারে ঐ আসামি। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। জামিন শুনানিকালে তার আইনজীবী জানান, ভিকটিম এখানে আছে। তারা বিয়ে করতে সম্মত। জামিন পেলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে। এ অবস্থায় আদালত কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।

ইত্তেফাক/এসআই