৩৬'শ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে গ্রেফতার এবং তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এখন পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে, গত ২১ অক্টোবর দেশে ফেরামাত্র পি কে হালদারকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সে সময় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অভিযোগ রয়েছে, পি কে হালদার পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে আত্মসাৎ ও পাচার করেছে। ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলার এজাহারে পি কে হালদার ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য ছিল।
দুদক ও বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে পি কে হালদার। দুদকের অনুরোধে পি কে হালদারকের অপকর্মের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিএফআইইউ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা, নিজের নামে ২৪০ কোটি টাকা এবং তার মা লীলাবতী হালদারের নামে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা। অবশ্য সবগুলো হিসাব মিলে এখন জমা আছে মাত্র ১০ কোটি টাকার মতো। অন্যদিকে পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়েই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কেনা হয়। তবে ঋণ নেওয়া পুরো টাকার হদিস মিলছে না।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি