বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এমসি কলেজ: অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত  

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২১, ২০:০৬

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবীর কোন আপত্তি না থাকায় আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি আমলে নেন। 

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) অভিযোগপত্রের উপর শুনানি শেষে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন।  

এরআগে গত রবিবার একই আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য সময় চাইলে আদালত দুদিনের সময় দেন। এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের প্রথম শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।  ঐ তারিখেও বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সময় প্রার্থনা করেছিলেন।  কিন্তু এ সময়ের মধ্যে মামলার নথিপত্র বাদীপক্ষ না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবার আবেদন করেন। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ন্যক্কারজনক ঘটনা।  আমরা আদালত থেকে অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করার জন্য দুইদিনের সময় নিয়ে তা পর্যালোচনা করে দেখছি।  এছাড়া সকল আসামিকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে।  যার জন্য আমরা আপত্তি জানাইনি।  অভিযোগপত্রের বিষয়ে আমরা বাদী পক্ষের আইনজীবী সন্তুষ্ট পোষণ করলে আদালত তা আমলে নেন। 

আরও পড়ুনঃ রায়হান হত্যা: পুলিশ কনস্টেবল হারুনের জামিন নামঞ্জুর

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়।  এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহ-পরাণ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মধ্যে ৬ আসামি ও সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব।  গ্রেফতারের পর তাদের ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহ-পরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।  অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।  আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়।  ৮ আসামিই বর্তমানে কারাগারে।

ইত্তেফাক/এমএএম