বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপই নয়, বিচার বিভাগের প্রতি প্রচণ্ড আঘাতের সামিল

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২১, ২০:১২

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কুষ্টিয়ার এসপি এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্ব্যবহার শুধু বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপই নয় বরং পুরো বিচার বিভাগের প্রতি প্রচন্ড আঘাতের সামিল বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট

আদালত বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ও আইনানুযায়ী ভোটকেন্দ্রে বিচারিক দায়িত্ব পালন করছিলেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান। কিন্তু দায়িত্বরত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ঐ পুলিশ সুপার যে আচরণ করেছেন তা আদালত অবমাননার সামিল। উনার (এসপি) এই কর্মকাণ্ড শুধু বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপই নয় বরং পুরো বিচার বিভাগের প্রতি প্রচণ্ড আঘাতের সামিল। উনার এই কর্মকাণ্ডকে আমরা (আদালত) এড়িয়ে যেতে পারি না। এটাকে হালকাভাবে নেওয়ারও সুযোগ নাই। উনি শুধু গুরুতর আদালত অবমাননাই করেননি, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ণ  করেছেন।

চারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট

একইসঙ্গে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। 

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়। একটি অনুলিপি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতরে। এতে এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দেয়। 

ইত্তেফাক/এসআই