শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুড়িগ্রামে ৪ জনকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২২

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান আহমেদের বাড়িতে রাতে আধারে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। 

মামলায় রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত উপস্থিত আসামিরা আদালতের কাঠগড়া ভাঙচুরসহ বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের উশৃঙ্খল আচরণ থেকে নিবৃত করে কারাগারে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। হত্যা মামলায় ৭ আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। মামলায় ৭ আসামির মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে জালাল গাজি পলাতক রয়েছে এবং অপর আসামি নাইনুল ইসলামকে খালাস দেয় আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুসহ ৫ আইনজীবী। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে একদল মুখোশধারী গভীররাতে প্রবেশ করে সুলতান মন্ডল তার নাতনী রোমানা, আনিকা ও স্ত্রী হাজেরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি মমতাজ উদ্দিনের সাথে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য বাকী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে। 

কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশীট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হল। এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাঠগড়া ভাঙচুর ঘটনার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধর্ষ।

ইত্তেফাক/এমএএম