কুমিল্লায় বিচারকের খাস কামরায় একটি খুনের মামলার আসামি ফারুককে তার অপর সহযোগী আসামি হাসান কর্তৃক উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক হাসানকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান আদালতে উপস্থিত ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে এবং আদালতে হাসানের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া ফারুক জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে। তারা উভয়ে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার আসামি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট খুন হন হাজী আবদুল করিম। এ মামলায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন মামলার দুই আসামি হাসান ও ফারুক। ওইদিন আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আসামি হাসান একই মামলায় তার সহযোগী আসামি ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ঘাতক হাসানের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবির পরিদর্শক প্রদীপ মণ্ডল একমাত্র আসামি হাসানকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১নং আমলী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ এ হত্যা মামলায় ফারুকের ঘাতক আসামি হাসানের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম ও এপিপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু ও অ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম।
ইত্তেফাক/এমএএম