গাজীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সাত টুকরা করার ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রেহানা আক্তারের ভাই মো. হোসাইন শহীদ বাদী হয়ে সোমবার জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত স্বামী জুয়েল আহমেদ সোমবার গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, জুয়েল আহমেদকে সোমবার গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে সে তার স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরা করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
তিনি আরো জানান, রেহানাকে বিয়ের আগে জুয়েল আরো একটি বিয়ে করেছিল। সেখানে তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছয় মাস আগে জুয়েল-রেহেনা পালিয়ে বিয়ে করে। জুয়েলের আগের বিয়ের কথা জানতো না রেহানা আক্তার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক কলহের জেরে রেহেনা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ সাত টুকরা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখে স্বামী জুয়েল। পরে রবিবার সদর উপজেলার মনিপুর এলাকা থেকে লাশের টুকরোগুলো পুলিশ উদ্ধার করে।
ইত্তেফাক/এএএম