শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট-চিকিৎসকের ঝগড়া আদালতে গড়ালো

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৫১

দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশ ও একজন নারী চিকিৎসকের বাকবিতণ্ডার ভিডিও এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। সেই ভিডিও দেখে কেউ কেউ নারী চিকিৎসক আবার অনেকেই পুলিশের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ালো। 

সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ইউনুছ আলী আকন্দ নামের একজন আইনজীবী ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের চলমান লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক- ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।

এসময় ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তখন আদালত বলেন, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তাদেরকে আদালতে আসতে হবে। তখন বিষয়টি দেখা যাবে। তাদের ছাড়া এ বিষয়ে কোনো আদেশ নয়। এর আগে রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিন দুপুরে তিন পক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ উৎসুক জনতার নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলোজী অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সিদা শওকত জেনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।

চেক পোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে? পরে সেই বাগবিতণ্ডা চলে দীর্ঘ সময়।

ইত্তেফাক/এসআই