ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বনানী থানায় তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে হাজির করা হয় পরীমনি ও নজরুল ইসলাম রাজকে। রাজধানীর বনানী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা আলাদা মামলা রয়েছে।
এর আগে বিকেলে পরী মণি, প্রযোজক নজরুল রাজসহ চারজনকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। পরে তাদের ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটি মামলায় শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতি মণি ওরফে পরী মণি এবং তাঁর ব্যবস্থাপক ও কথিত মামা আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা নম্বর পাঁচ।
আরেকটি মামলায় নজরুল রাজ ও তাঁর ব্যবস্থাপক মো. সবুজ আলীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলা নম্বর ছয়।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গতকাল বুধবার বিকেলে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।’
পরীমণির সহযোগী ও রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজের কাছ থেকে আমরা মাদক ও বেশ কিছু ডিজিটাল কনটেন্ট উদ্ধার করেছি। সেগুলো দিয়ে তিনি বিভিন্ন লোককে ব্ল্যাকমেইল করতেন। এজন্য রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
ইত্তেফাক/এনএ