বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অপহরণের পর শিশু হত্যা: সব আসামি খালাস

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২৭

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর চার বছরের শিশু সাকিবুল ইসলাম ওরফে শুভ হত্যা মামলার ১০ আসামিকেই খালাস দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক কে এম শহীদ আহমেদ এ রায় দেন। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাড়ির উঠান থেকে অপহরণ হয় শিশু শুভ।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের আবদুল রাজ্জাক, একই উপজেলার চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের কবির মিয়া, হারুন মিয়া, সুমন মিয়া, রবিনহুড, নিজামখাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান, জুয়েল চন্দ্র, মীরগঞ্জ এলাকার রিপন কুমার সাহা, বালাপাড়া গ্রামের মিল্টন মিয়া ও একই গ্রামের লাভলু মিয়া।

মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মীরগঞ্জ বালাপাড়ার আশেক আলী মাস্টারের চার বছর বয়সী শিশুপুত্র সাকিবুল ইসলাম ওরফে শুভকে বাড়ির উঠান থেকে অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। এরপর অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শুভর বাবার কাছে। মুক্তিপণ না পেয়ে নির্মমভাবে শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।

ঘটনার দুইদিন পর অপহরণকারী চক্রের ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মীরগঞ্জ গুচ্ছ গ্রামের পাশে ঈদগাঁ মাঠের দক্ষিণে একটি নালার কচুরিপানার নিচ থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আশেক আলী মাস্টার বাদী হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ৯ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জিন্নাত আলী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একই বছরের ডিসেম্বরে বাদীর আপন ভাই আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এই মামলায় ১০ নম্বর আসামি আব্দুর রাজ্জাক সাক্ষী থেকে আসামি হন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিন গুলসান নাহার মুনমুন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আশাবাদী ছিলাম কমপক্ষে ৩/৪ জনের ফাঁসির আদেশ আসবে। কিন্তু এই রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু আলা মো. সিদ্দিকুর ইসলাম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

ইত্তেফাক/এমআর