শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নীলফামারীতে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪৮

নীলফামারীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী আলমগীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আলমগীর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
 
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এই আদেশ দেন। এই মামলায় অন্য ছয় আসামিকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে আদালত। তারা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামির বাবা-মা, বোন, চাচা ও ফুফু।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের খতিবর রহমানের মেয়ে সুমি আকতারকে বিয়ে করেন আলমগীর। বিয়েতে দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে মেয়ের বাবা (শ্বশুড়) প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর অটো কেনার জন্য এক লাখ টাকা মেয়ের বাবা জামাতা আলমগীরকে দেন। যৌতুকের বাকি পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী সুমিকে মারধোর করেন স্বামী আলমগীরসহ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন।

২০১৬ সালে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সুমিকে মারধর করে শরীরে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সুমির বাবা খতিবর রহমান ডিমলা থানায় জামাতা আলমগীর হোসেন, বাবা সিরাজুল ইসলাম, মা আনোয়ারা বেগম, বোন শিল্পী বেগম, চাচা ওবায়দুর রহমান, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ফুফু রওশন আরা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ছয়জনকে অব্যাহতি দিয়ে জামাতা আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।আজ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে হত্যা ও আগুনে পুড়িয়ে মামলার প্রধান আসামি স্বামী আলমগীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রামেন্দ্র বর্ধন বাপ্পী বলেন, আসামির উপস্থিতিতে ডিমলা থানার মামলা নম্বর-৮, তারিখ-০৭/১১/১৬ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এই মামলায় আসামির সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এমএএম