রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় কলেজছাত্র রাজু আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় অপর ৯ আসামিকে বেকসুর খলাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার জনাকীর্ণ এজলাসে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর দড়িখড়বোনার আজিজুর রহমান রাজন, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মো. রিংকু বয়া, দুর্গাপুর উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ রেন্টু।
আইনজীবী এন্তাজুল হক জানান, নিহত রাজুর বাড়ি বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। মাদারীগঞ্জ বাজারে তার বাবা এসার উদ্দিনের একটি স্বর্ণালংকারের দোকান ছিল। আসামি মাহাবুর রশীদ রেন্টুর সঙ্গে রাজুর পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মাহাবুর রশীদ রেন্টু তার সহযোগীদের নিয়ে গিয়ে রাজুর দোকানে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে স্বর্ণালংকারের দোকানে ভাংচুর চালায় রেন্টু ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় রাজু বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর আসামিদের হুমকিতে রাজু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রাজশাহী মহানগরীর মুন্নাফের মোড়ে এক বন্ধুর মেসে আশ্রয় নেন। পরে রাজুর পরিকল্পনায় ২০১০ সালে ১৫ মার্চ রাজুকে নিউমার্কেট থেকে প্রথমে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে আসামিরা রাজুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ছেলেকে হত্যার ঘটনায় পরদিন তার বাবা এসার উদ্দিন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার ১৫ আসামির মধ্যে একজন বিচার চলাকালে মারা যান। ১৪ আসামির মধ্যে আদালত পাঁচজনের ফাঁসি ও ৯ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইত্তেফাক/ইআ/এসজেড