শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফরিদপুরের মনিরা হত্যায় ১ জনের ফাঁসি

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৫৬

ফরিদপুর আলফাডাঙ্গায় ২০১১ সালে মনিরাকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় কথিত স্বামী শাহাবুদ্দিন খানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত, একই অপরাধে সহায়তা করার জন্য শাহাবুদ্দিনের ভাই সুমন খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এই আদেশ প্রদান করেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মনিরা বেগমকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন। কিন্তু প্রতিবেশী হওয়া এই বিয়েতে রাজি ছিল না মনিরার পরিবার। পরবর্তীতে শাহাবুদ্দিন অন্যত্র বিয়ে করলেও জেদের বশবর্তী হয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মনিরা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তী ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করে মনিরা বেগমের সাথে ১ মাস ঘর সংসার করে। ১ মাস পরে ভুয়া কাবিনের ব্যাপারে মনিরার সন্দেহ হলে সে শাহাবুদ্দিনকে কাবিন নামা দেখাতে বলে। 

এসময় শাহাবুদ্দিন মনিরাকে বলে, আমি তোকে ভুয়া বিয়ে করেছি, তোর পরিবার আমার সাথে তোকে বিয়ে দেয় নাই, আমার জেদ ছিল ১ দিনের জন্য হলেও তোকে বিয়ে করবো, সেটাই করেছি। এরপরে মনিরা বাবার বাড়ি ফিরে এসে ঘটনা পরিবারের সবাইকে খুলে বলে। দুই পরিবারের আলোচনা চলার মধ্যেই শাহাবুদ্দিন মনিরাকে ডেকে নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় শাহাবুদ্দিনের ভাই সুমন খান লাঠি দিয়ে মনিরাকে মারপিট করে। 

পরবর্তীতে পরিবার ও প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় মনিরাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০/০৭/১১ তারিখে মৃত্যু হয় মনিরার। এই ঘটনায় মনিরার বাবা বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা একটি মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষ বিজ্ঞ আদালত আজ এই রায় প্রদান করেন। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষ ৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি শাহাবুদ্দিনকে ফাসি ও তার ভাই সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, একই সাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। মামলার অপর দুই আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তিনি বলেন, রায়ে রাষ্ট্র পক্ষ খুশি। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


ইত্তেফাক/এমএএম