শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নুসরাত হত্যাকাণ্ড: আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদকে রিমান্ডে চায় পিবিআই

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০১৯, ২২:০০

ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফির হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমকে রিমান্ড নিতে চায় পিবিআই। এ জন্য শুক্রবার বিকালে মাকসুদকে ফেনীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানির জন্য সোমবার নির্ধারণ করেছেন।

গ্রেফতার মাকসুদ সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআইয়ের একটি দল। নুসরাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি মাকসুদ। 

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, রাতেই তাকে ঢাকা থেকে ফেনীর পিবিআই কার্যালয়ে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: নুসরাতের মাদ্রাসার অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত চেয়ে চিঠি

৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। তার বান্ধবী নিশাতকে মাদ্রাসার ছাদে মারধর করা হচ্ছে বলে একজন এসে তাকে জানায়। এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকা পরা চারজন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলতে চাপ দেয়।

এসময় নুসরাত এর প্রতিবাদ করেন। বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। এরপর তার হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।

১০৮ ঘণ্টা আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা নুসরাত জাহান রাফি। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এ মামলায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সিরাজউদ্দৌলারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। আর এ মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হচ্ছিল।

ইত্তেফাক/জেডএইচ