বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বগুড়ায় গ্যাং রেপ-হত্যা: ৩ বছর পর চার্জগঠন

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৭

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিউটি বেগমকে (৩০) অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট। দীর্ঘ তিন বছর পর এ মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে বুধবার (১৭ এপ্রিল) চার্জগঠন করা হয়েছে। বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম ফজলুল হক শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এই চার্জগঠন করেন।
 
অভিযুক্ত আসামিরা হলো- বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৈডালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল কুদ্দুস, তার ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, আফসার আলীর ছেলে রায়হান ফকির, আবদুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী, নিজাম উদ্দিন দুলুর ছেলে আসলাম ফকির, রমেশ উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান রনি এবং রণবাঘা গ্রামের রবিউল্লাহর ছেলে মুকুল হোসেন, নাইম উদ্দিনের ছেলে শুকুর আলী, ঈমান আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও জোব্বার আলীর ছেলে মো. রিপন। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান ও রিপন পলাতক রয়েছে।
 
আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, আসলাম ফকির ও আবদুল কুদ্দুস। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে।

এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার আকরাম হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের মা বিউটি বেগম ঠনঠনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আসামিরা ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে তাকে অপহরণ করে। পরে নন্দীগ্রাম উপজেলার চৈতন্যপুর-কৈডালা সড়কের পাশে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। 

পরদিন সকালে পুলিশ ওই জায়গা থেকে কাঁথা ও চাদর মোড়ানো অবস্থায় বিউটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে। সেই সময় লাশের গলায় জখম, বাম চোখে আঘাত ও নাকমুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশি অভিনেতা নুরকেও ভারত ছাড়ার নির্দেশ

হরিশ চন্দ্র নামে এক চৌকিদার এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পঞ্চনন্দ সরকার জানতে পারেন, এটি অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা। তিনি ১১ আসামির মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর মামলাটি বিচারের জন্য প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে।

স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জ্জী জানান, ‘তিন বছর আগে চার্জশিট হলেও প্রভাবশালী আসামিদের তদবিরের কারণে চার্জগঠনে বিলম্ব ঘটে।’

ইত্তেফাক/অনি