কুমিল্লায় মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া নামের এক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে আটকের পর ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর দায়ে সফিক মিয়া ওরফে মনু মিয়া নামে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দেন জেলার লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম ইয়াসির আরাফাত। বিকালে ওই দুইজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগেও জেলার দেবিদ্বারে একই পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া রায়ে মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া ৭ দিন সাজা খেটেছিল।
লালমাই উপজেলার ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকালে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজন মোতালেব হোসেন ভূঁইয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম ইয়াসির আরাফাতের কার্যালয়ে হাজির করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মোতালেব হোসেন ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তি এবং ভুক্তভোগী ও সাক্ষীসহ পুলিশের বক্তব্য শুনে তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
অপরদিকে লালমাই উপজেলার আজবপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অপরাধে বৃহস্পতিবার একই ভ্রাম্যমাণ আদালত সফিক মিয়া ওরফে মনু মিয়া নামে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া ও সফিক মিয়া ওরফে মনু মিয়াকে বিকালে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/অনি