শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত গেজেট জারি করা উচিত: হাইকোর্ট

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২০:৪৫

হাইকোর্ট বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই মাদক মামলার বিচারের জন্য সরকারের উচিত মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনে দ্রুত প্রয়োজনীয় গেজেট জারি করা। আশা করছি আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি হবে। আমরা সেই সুখবরের প্রত্যাশায় রইলাম। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এই মন্তব্য করেন। 

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন ভেটিং করে বিষয়টি ঠিক করা হবে। আদালত বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও কাজ রয়েছে। সরকার ইচ্ছে করলে এক ঘণ্টার মধ্যে গেজেট জারি করতে পারে। হাইকোর্ট বলেন, শিশু আইনের অস্পষ্টতা, অসঙ্গতি ও বিভ্রান্তি নিরসনে আমরা একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছি। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রায় আড়াই বছর পর আইনটি সংশোধন করা হয়। 

ইয়াবা ও হেরোইনসহ গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে আটক হন মাসুদুল হক মাসুদ নামে এক ব্যক্তি। তার জামিনের নথি পর্যালোচনায় হাইকোর্ট দেখতে পায়, মাদক মামলাটি আমলে নিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। আর বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর তৃতীয় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে। কিন্তু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করতে পারবে। 

(৪) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, এই ধারার অধীন ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট জেলার যে কোনো অতিরিক্ত জেলা জজ বা দায়রা জজকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে। কিন্তু এই আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতকে জানান আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল ফয়সাল সিদ্দিকী। 

এরপরই গত ৮ জুলাই মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৪ ধারা কার্যকরে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া কোন এখতিয়ার বলে ঢাকার একটি মাদক মামলা বিচারের জন্য তৃতীয় মহানগর যুগ্ম দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করেছিলো আদালত। 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি