শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘গো-ব্রডব্যান্ড’ ইন্টারনেটে রাষ্ট্রের ক্ষতি নিরূপণে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২১:০১

আইন ও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গ্রাহকদের ‘গো ব্রডব্যান্ড’ ইন্টারনেট সেবা দিয়ে গ্রামীনফোন রাষ্ট্রের কি পরিমাণ ক্ষতি করেছে তা অডিটর জেনারেলের মাধ্যমে নিরূপণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন। 

এছাড়া ‘গো ব্রডব্যান্ড’ সেবা চালু করে দুই বছরে গ্রামীনফোনের আয় করা ৩০ কোটি টাকার পুরো অর্থ জরিমানা করে বিটিআরসির তিনটি চিঠি বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। তিনটি চিঠি বাতিল করা হলেও বিটিআরসি আইনের ৬৩ ও ৬৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী নতুন করে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর এ চিঠি দিতে হবে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও বিটিআরসির পক্ষে খন্দকার রেজা-ই-রাকিব শুনানি করেন। 

রেজা ই রাকিব বলেন, ‘গো-ব্রডব্যান্ড’ নামে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ট্রান্সমিশন সংযোগ দিয়েছে। এটি ইনফ্রাস্টাকচার নীতিমালার ৪ দশমিক ৭ এবং ৪ দশমিক ৮ নম্বর শর্তানুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। আইন অনুযায়ী, মোবাইল ফোন অপারেটররা অপটিক্যাল ব্যাকবোন ট্রান্সমিশন স্থাপন করতে পারে না। এর অনুমোদন রয়েছে শুধু অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবাদানকারী ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) প্রতিষ্ঠানগুলোর। ফলে এ সার্ভিসটি চালু রাখা আইনসিদ্ধ নয় বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। 

গ্রামীণফোন ‘গো ব্রডব্যান্ড’ সেবার নামে সরাসরি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রেভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ২০১৬ সালে বিটিআরসির কাছে লিখিত অভিযোগ করে। পরে ওই ফোন কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হয়। এসব চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে গ্রামীনফোন। 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি