শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষকের মামলা

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৪৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই এবং পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক মামলার বিষয়ে বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শাবি শিক্ষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মাঝে স্বাস্থ্য ও গোষ্ঠী জীবন বীমা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু এ স্বাস্থ্য বীমার ব্যাপারে বাদী পক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও তাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ায় তারা এ মামলা দায়ের করেন। সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাইয়ের মামলা নং- ১৬৫/১৯ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলামের মামলা নং-১৬৬/১৯।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই বলেন, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবীমা চুক্তি করে। যেটা মাত্র ২ বছরের জন্য। এমন না ১০, ২০ বছরের জন্য। এ অল্প সময়ে আমি কতটুকু সেবা পেতে পারি? কিন্তু আমি এ চুক্তির সাথে সংযুক্ত হতে না চাইলেও তারা মার্চ হতে আমার বেতন থেকে টাকা কাটা শুরু করে। এ বিষয়ে আমি আপত্তি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমলে না নেওয়ায় আমি মামলা করতে বাধ্য হই। 

আরও পড়ুন : পুঁজি বাজারকে টেকসই স্তরে উন্নীত করা হবে: অর্থমন্ত্রী

সহযোগী অধ্যাপক ড. মো রফিকুল ইসলাম বলেন, চুক্তি মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন থেকে জনপ্রতি ২৭১ টাকা এবং শিক্ষকদের বেতন থেকে কর্তিত টাকার সমপরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ইন্স্যুরেন্সকে দেওয়া হবে। আর এ সেবা মাত্র ২ বছরের জন্য। এমন না দীর্ঘমেয়াদী। আর তাছাড়া এ চুক্তির সাথে আমি অসম্মতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দরখাস্ত লিখলে তারা আমার এ দরখাস্ত আমলে নেয়নি। আবার সিন্ডিকেটের কততম সিন্ডিকেটে আমার দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি সেটাও উল্লেখ করা হয়নি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি মামলা করতে বাধ্য হই।

ৎএ বিষয়ে শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পানীটি আরও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই চুক্তি করছে। সেগুলোও ২ বছরের জন্য। এ চুক্তি শেষ হয়ে গেলে আমরা চাইলে আবারও চুক্তি করবো। কিংবা এদের সেবা পছন্দ না হলে পরবর্তীতে আমরা অন্য কোন কোম্পানীর সাথে চুক্তি করবো। আর কততম সিন্ডিকেটে উনার (সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম) আবেদন মঞ্জুর হয়নি সেটা উনি চাইলে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিষয়টি জেনে নিতে বলেন। 

ইত্তেফাক/কেআই