মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ৩ মামলা, রিমান্ড চেয়ে আদালতে

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৫

চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে রাজধানীর গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলা করা হয়েছে। শনিবার বিকালে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র‌্যাব। কার্যালয়ের ভেতর থেকে ডলার, মদ, আগ্নেয়াস্ত্র, নগদ টাকা, এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তার দেহরক্ষী সাতজনকে। 

র‍্যাব জানায়, শামীমের কার্যালয় থেকে নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকিগুলো তার নামে। এছাড়া ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে। 

অভিযানের র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বলেন, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে শামীমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় এসেছে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা পাওয়া গেছে। 

র‌্যাব জানায়, শামীমের দেহরক্ষীদের কাছ থেকে সাতটি শটগান জব্দ করা হয়। বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করেন জি কে শামীম। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের বাইরে অন্য কারও কাজ পাওয়া দুরূহ। সরকারি বড় কাজগুলো তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, জি কে শামীমের কোনো পদ নেই যুবলীগে। তিনি নিজেই নিজেকে যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে বেড়াতেন। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে শুনেছি। 

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, জি কে শামীম নামে আমাদের কোনো সহ-সভাপতি বা সদস্যও নাই।

ইত্তেফাক/জেডএইচ