বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৩৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বুধবার সকালে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন এ বিষয়ক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ সময় গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

এ বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বলেন, 'সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।'

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি সেফাত উল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যা আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হলো।

আরও পড়ুন:  প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী সফরে স্বাক্ষর হতে পারে ১০-১২ চুক্তি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী। ওই মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন এবং কোরআনের অবমাননা করছেন। তার এই কাজ ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি