বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইতালির যে গ্রাম করোনা ভাইরাস মুক্ত

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২০, ২২:২১

করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি। সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় দেশটি। করোনা ভাইরাসের প্রাণ কেন্দ্র চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। তবে অবাক করার বিষয়, দেশটির একটি গ্রামে এখনও হানা দিতে পারেনি এই ভাইরাস। 

ইতালির উত্তরের পিয়েডমোন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম। নাম তার মন্টাল্ডো টোরিনিস। এর বাসিন্দারা এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। অথচ ওই অঞ্চলেই দিন দিন বাড়ছে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মন্টাল্ডো টোরিনিসের বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, ‘অলৌকিক পানি’ তাদের এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করেছে। 

গ্রামের ৭২০ জন বাসিন্দা বিশ্বাস করেন, মন্টাল্ডো টোরিনিসের কূপের পানি খেয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ফরাসি শাসক নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সৈন্যরা ভালো হয়ে গিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে কতক্ষণ বেঁচে থাকে করোনা ভাইরাস? গবেষণায় ভয়াবহ তথ্য

তবে সেখানকার মেয়র সের্জিও গায়োতি জানান, গ্রামের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর করোনাকে কেন্দ্র করে নেওয়া পদক্ষেপের কারণেই গ্রামটি এখনো ভাইরাস মুক্ত।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করা হয়, নেপোলিয়নের জেনারেলরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। আর সৌভাগ্যক্রমে ওই সময় পানি সম্ভবত তাদের সাহায্য করেছিল। তবে আজ কূপটি কেবল জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি এখন কূপটি থেকে পানি পান করতে পারবেন না।’

আরো পড়ুন: আগস্টেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মরতে পারে ৮২ হাজার মানুষ

গত রবিবার পর্যন্ত ইতালির পিয়েডমোন্ত অঞ্চলে আট হাজার ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী তুরিনে গত শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার ৬৫৮ জন। তবে তুরিন থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মন্টাল্ডো টোরিনিস গ্রামের কেউ এখনও করোনায় আক্রান্ত হননি।

কাজের জন্য সেই গ্রাম থেকে অনেকেই প্রাদেশিক রাজধানী তুরিনে যাতায়াত করে থাকেন। তারপরও গ্রামটিতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ দেখা দেয়নি। 

এর কারণ হিসেবে মেয়র বলেন, এখানকার বিশুদ্ধ বাতাস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আর মানুষকে সতর্ক রাখতে তাদের উদ্যোগই ভাইরাসটিকে এখানে প্রবেশ করতে দেয়নি।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ হাজার ১৫১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১ হাজার ৭৩৯ জন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ