শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাবনায় ১৯ জনের নমুনায় করোনা মেলেনি, পালিয়েছেন এক রোগী

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ২০:০০

প্রথম পর্যায়ে পাবনা থেকে পাঠানো ১৯ জনের নমুনায় কারো শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। অপরদিকে আইসোলেশনে থাকা সন্দেহভাজনক এক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সিভিল সার্জন জানান, গত ৪ এপ্রিল করোনা সন্দেহে প্রথম ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষার ফলাফল আজ পাওয়া গেছে। সেখানে সবারই নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত পাবনায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৪১ জনের নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর ফলাফল পর্যায়ক্রমে কয়েকদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

এদিকে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মোট ৮০১ জনকে। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১৭০ জনকে।

এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, ৪১ জনের মধ্যে ৪ এপ্রিল ১৯ জন, ৫ এপ্রিল দুইজন, ৬ এপ্রিল সাতজন, ৭ এপ্রিল চারজন এবং ৮ এপ্রিল নয়জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: মাদারগঞ্জে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ স্টাফরা হোম কোয়ারেন্টাইনে

অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক রোগী পালিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) কোনো এক সময় তিনি পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পাবনা জেলারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আবুল হোসেন জানান, ভর্তি থাকা অবস্থায় ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। তবে ফলাফল এখনা পাওয়া যায়নি। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ বলেন, ওই রোগীর তথ্য ও ঠিকানা অনুযায়ী সকল স্থানে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, হাসপাতালের সহকারি পরিচালক আইসোলেশন থেকে ওই সন্দিগ্ধ রোগী পালানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। কারো গাফিলতি ছিল কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

ইত্তেফাক/এসি