ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসা ৪৯ জনসহ ১০০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। এর মধ্যে স্থানীয় ৩৮ জন। এরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্সে গিয়েছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা রাজশাহীতে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্সে যারা গেছেন তাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সকলের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যমুনা পাড় হয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরতরা সিরাজগঞ্জে
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে নেওয়াদের মধ্যে ঢাকা থেকে ৩২, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৭ জন এসেছেন। তাদের সংস্পর্সে আসায় ৩৮ জনকেও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর থেকে ছয়জন, দিনাজপুর থেকে দুইজন, ফরিদপুর থেকে একজন ও নওগাঁ থেকে আসায় তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রাসিক এলাকায় ১৪, বাঘায় চার, পুঠিয়ায় ৩৯ ও তানোরের ৪৩ জন রয়েছেন।
রাজশাহীতে রাত জেগে রাস্তা পাহারা
এদিকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্তের পর শক্ত অবস্থানে গেছে প্রশাসন। ভাইরাস বহনকারী লোকজন রাজশাহীতে আসা ঠেকাতে রাত জেগে রাস্তা পাহারা দিচ্ছেন পুলিশ। একই সঙ্গে জেলার কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় বন্ধ করে দিয়ে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী।
নগরীর কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো অনেক ভালো। ভালো থাকতে বাইরে থেকে কাউকে শহরে প্রবশে করতে দেওয়া যাবে না। কৃষিপণ্য, খাবার গাড়ি এবং জরুরি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মহানগর এলাকায় ৭ থেকে ৮টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ফলে সহজে চাইলেই কেউ শহরে প্রবেশ করতে পারছে না।
ইত্তেফাক/এসি