শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জানুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়াতেই সাত ধরনের করোনা ভাইরাস মিলেছিল

আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ০৭:৫৮

করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার। করোনা ভাইরাসের গতি প্রকৃতি, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য কিংবা বিবর্তনের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো নিশ্চিতভাবে জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

স্থান, কাল পাত্রভেদে এর আচরণেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা; যদিও মানব শরীরের ক্ষতি করার দিক দিয়ে অনেকটাই অভিন্ন চরিত্রের এই নভেল করোনা ভাইরাস। ঘন ঘন জিন মিউটেশনের মাধ্যমে দ্রুত রূপ বদলাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাস। জানুয়ারির শেষ ভাগে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতেই করোনা ভাইরাসের সাত ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স মিলেছে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকদের মতে, প্রাথমিকভাবে খুঁজে পাওয়া ঐ সাত ধরনের করোনা ভাইরাসই পুরো রাজ্যের মানুষকে আক্রান্ত করেছে। সেই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ক্যালিফোর্নিয়ার ৩৬ জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স থেকে সাত ধরনের কথা জানা যায়। এই সাত ধরনের মধ্যের একটির সঙ্গে মিল ছিল ওয়াশিংটনের প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির করোনা ভাইরাসের সঙ্গে।

গবেষকরা সেখানে অন্য এক ধরনের করোনা ভাইরাসের সন্ধান পান যেটি ডায়মন্ড প্রিন্স প্রমোদতরীর ৭০০ জনের সঙ্গে মিলে যায়। এই গবেষণার মাধ্যমে তারা দেখতে পেয়েছেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতেই সাত ধরনের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সমস্ত পৃথিবীর কথা চিন্তা করলে করোনা ভাইরাসের ধরনের এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

গবেষকদের মতে, এই সাত ধরনের করোনা ভাইরাসই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে বীজের মতো কাজ করেছিল ক্যালিফোর্নিয়াতে। জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়াতে সাত ধরনের করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পরও প্রথম শনাক্ত রোগীরা কাদের মধ্যে মিশে ছিল সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁজে বের করতে না পারায় সেইভাবে সাফল্য মেলেনি। সার্স-কোভ-২ নামের এই ভাইরাসটি অন্যান্য করোনা ভাইরাসের মতোই জিন মিউটেশন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রূপ নিয়েছে। যদিও অন্য ভাইরাসের তুলনায় তাদের এই বিবর্তন কিছুটা ধীরগতির।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮০ ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স মিলেছে করোনা ভাইরাসের। আমেরিকাতে করোনা ভাইরাসে উৎস এবং প্রাথমিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে এখনো অনেক বিতর্ক রয়েছে। তাদের মতে, শুরুতেই যদি করোনা ভাইরাসের উৎস এবং ছড়িয়ে পড়ার সূত্র জানা যেত তাহলে হয়তো এত প্রাণহানি থামান যেত।—ডেইলি মেইল