শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনার টিকা বণ্টনে ১৫৬টি দেশের ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১০

করোনা ভাইরাসের নতুন কোনো টিকা পাওয়া গেলে তা বিশ্বব্যাপী দ্রুত ও ন্যায়সংগত বিতরণ করতে একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের ১৫৬টি দেশ। চুক্তিতে সম্মত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশকে দ্রুত এ টিকা দেওয়া হবে। এর আওতায় পড়বে ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা খাত, বিশেষ করে সম্মুখসারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও সামাজিক সেবা খাতে যুক্ত লোকজন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গার্ডিয়ানের খবরে আরো বলা হয়, কোভ্যাক্সের উদ্যোগে উচ্চ আয়ের ৬৪টি দেশ ইতিমধ্যে এতে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি দেশ ও ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এর বাইরে আরো ৩৮টি দেশ শিগিগরই যুক্ত হবে। এই উদ্যোগে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বে ২০০ কোটি ডোজ নিরাপদ ও কার্যকর টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার, টিকা প্রস্তুতকারক, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে টিকা গবেষণা ও উন্নয়নে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি (কোভ্যাক্স) উদ্যোগটির সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন ও দাতব্য সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই)। গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, তাদের উদ্যোগ কোভ্যাক্সে অংশ নিতে বিশ্বের ১৭০টি দেশ আলোচনা করছে।

এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যেসব রাষ্ট্র এগিয়ে আছে তার সবগুলোই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ফলে এই ভ্যাকসিন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর কাছে পৌঁছাতে তুলনামূলকভাবে অনেক দেরি হবে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন এ চুক্তি সেই সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ধনী দেশগুলোর সঙ্গে যেন দরিদ্র ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোও ভ্যাকসিন পায় সেটি নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে কোভ্যাক্স কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থাকছে না বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সে অংশ নিতে বাধা আছে।

জানা গেছে, প্রথম কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে তা পরিমাণে খুব কম পাওয়া যাবে, এটা স্বীকার করেছে চুক্তিতে আসা দেশগুলো। প্রাথমিকভাবে ৩ শতাংশ জনগণের জন্য পাওয়া গেলেও। পরে সময়ের সঙ্গে এই হার ২০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

ইত্তেফাক/এসি