সাইফুদ্দিনের জোড়া আঘাতের পর মুস্তাফিজ তুলে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সপ্তম উইকেট। এতে জয় দিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর সম্ভাবনা আরও প্রবল হল বাংলাদেশের। ক্রিস মরিসকে সৌম্যর ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এর আগে সাইফুদ্দিন জোড়া আঘাত হানেন। ভ্যান দার দুসেনের পর আন্দিলে পেলুকায়োকেও সাজঘরে পাঠান তিনি। ৪৬ ওভারের খেলা শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭৬ রান। জয়ের জন্য তাদের ২৪ বল থেকে ৫৫ রান করতে হবে। হাতে আছে ৩ উইকেট।
জয়ের জন্য ৩৩১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা সতর্ক সূচনার চেষ্টা করছে দলটি। রান আউটের ফাঁদে পড়ে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এ সময় ২৩ রান করে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। অপর ওপেনার এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান সাকিব। দলীয় ১০২ রানে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৫ রান।
প্রয়োজনের সময় ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর ডেভিড মিলার ও ভেন ডার দুসেন ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেখানেই বাঁধ সাধেন মুস্তাফিজ। মিলারকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে মিলার করেন ৩৮ রান। সবশেষ দুসেন বোল্ড করে এবং পেলুকায়োকে সাকিবের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন।
বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে রবিবার বিকেলে ওভালে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বাংলাদেশকে। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করে মাশরাফি বাহিনী। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। মুশফিক ৮০ বল থেকে ৭৮ এবং সাকিব ৮৪ বলে করেন ৭৫ রান। এছাড়া তৃতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিক বিশ্বকাপে বাংলাদেশর সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেন। সাকিব এই ম্যাচে সব ফরম্যাটে ১১ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান।
এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৩ বল থেকে অপরাজিত ৪৬ ও সৌম্য সরকার ৩০ বলে ৪২ রান করেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির ও আন্দিলে পেলুকায়ো দুটি করে উইকেট নেন।
ইত্তেফাক/কেআই