শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শাস্ত্রীয় নৃত্যে মুখর ছায়ানট

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৭:২৪

শাস্ত্রীয় নৃত্যের ছন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ছায়ানট ভবন। ছায়ানট আয়োজিত নৃত্য উৎসবে সারাদেশ থেকে যারা শাস্ত্রীয় নৃত্য সাধনায় সম্পৃক্ত তাদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছিল এ উৎসবকে ঘিরে। নৃত্যগুরু ও শিক্ষার্থীদের নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ছুটির সন্ধ্যায় বর্ণিল এক উৎসব উপভোগ করলেন দর্শকরা। গতকাল ছায়ানট মিলনায়তন উপচে পড়েছিল দর্শকদের চাপে। শাস্ত্রীয় নৃত্যের পাঁচটি ধারায় ভাগ করা হয়েছিল পর্বগুলো। মনিপুরী দিয়ে শুরু এরপর ওড়িশি, গৌড়ীয় নৃত্য, ভরতনাট্যম এবং কত্থক পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয় উৎসব।

উৎসবের উদ্বোধন হয় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারোয়ার আলীর স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, নৃত্য দেহের সংগীত। চোখ, হাত, পা, সারা দেহ সঞ্চালনের শৈল্পিক রূপটি নৃত্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। আদিকাল থেকে যে শিল্পকলাটি লক্ষ্য করা গেছে সেটি নৃত্যশৈলী। তাই এ শরীরী সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে কোনো ঘটনা ও উপলব্ধিকে প্রকাশ করা নৃত্যশিল্পীরা করে থাকেন। মুক্তিযুদ্ধের পর গত কয়েক দশক ধরে নৃত্যের চর্চার বিকাশ ও বিস্তার এ ভূখণ্ডে ঘটতে দেখা যায়। ছায়ানট নৃত্যের ধ্রুপদী রূপের চর্চা করে আসছে। ধ্রুপদী নৃত্যের যে চারটি ধারা তার প্রকাশ এ উত্সবের মধ্য দিয়ে দেখা যাবে। এ উত্সবের মধ্য দিয়ে মনের যে কলুষতা তা থেকে মুক্ত হব এটাই কামনা।

স্বাগত কথনে অংশ নেন ছায়ানটের শিক্ষক বেলায়েত হোসেন খান। তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষার জন্য সংস্কৃতির যোগ জরুরি। সংগীতের, নৃত্যের চর্চা যত প্রসার পাবে সমাজ তত অগ্রসর হবে।

আরও পড়ুন: ছেলে সন্তান না হওয়ায় ৪০ দিনের মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে!

সিলেটের একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টসের শিল্পীদের ‘সূর্য প্রণাম’ পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় উৎসব। এরপরের পরিবেশনা ছিল ঢাকার শিল্পী বাবরুল আলম চৌধুরীর ‘শিবস্তুতি’। এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা। এরপর তামান্না রহমানের পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম নৃত্যশীলক কেন্দ্র। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয় ও ছায়ানটের শিল্পীরা। এরপর ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যছন্দের শিল্পীরা। গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস। ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন রুবাশা মারিয়ামা খান, অর্ণ কমলিকা, অর্থী আহমেদ, অমিত চৌধুরী, সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার ও ছায়ানটের শিল্পীরা। কত্থক নৃত্য পরিবেশন করে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। আর একক নৃত্য পরিবেশন করে মাসুম হসাইন।

ইত্তেফাক/কেকে