বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (স.) আজ

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৪২

দুনিয়ার প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের সমস্ত আবেগ-অনুরাগ, প্রাণোত্সারিত ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসে একাকার হওয়া প্রাণ-মন আকুল করা দিন আজ। উত্সবের রোশনাইঘেরা ১২ই রবিউল আউয়াল। আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (স.)—নবি দিবস। 

বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি রহমাতুল্লিল আলামিন সাইয়েদুল মুরসালিন খাতামুন্নাবিয়িন সরওয়ারে কায়েনাত তাজদারে মদিনা জগত্কুল শিরোমণি সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হজরত মোহাম্মদ আহমদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাত দিবস।
 
আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের ঘনঘোর তমসা ছাওয়া ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে সুবহে সাদিকের সময় জাজিরাতুল আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলো করে ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায় ...।’

হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বিশ্বনবির জন্মদিন ও ওফাত দিবস এক দিনে বলেই কথিত আছে। এ বিষয়ে মতভেদ থাকলেও প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়ালকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করে সারা মুসলিম বিশ্ব।

তবে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল মুসলমানগণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন ও ওফাত দিন হিসেবে ধরে নিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করে আসছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরাক, ইরানসহ অনেক দেশে খুব জাঁকজমক ও উত্সবের মাধ্যমে এই দিন উদ্যাপন করা হয়।

১২ই রবিউল আউয়ালে সিরাতুন্নবি (সা.)-এর আলোচনা, দরুদপাঠ, দান-সদকা করে থাকেন। মিষ্টি খাবার প্রভৃতি তৈরি করে বিতরণ করেন। নবিপ্রেমীরা অহর্নিশি ভক্তিভরে দরুদপাঠে মশগুল থাকেন। প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবি (স.) উপলক্ষ্যে আনজুমানে রহমানিয়ার মইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার উদ্যোগে রাজধানীতে জশনে জুলুস (র্যালি) অনুষ্ঠিত হয়। এবারও হবে আশেকানে মাইজভাণ্ডারি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মাইজভাণ্ডারি ফোরাম, ফরিদপুরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

আজ রাসুল (স.)-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। রাসুল (স.)-এর ওপর আলোচনা, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন র্যালি বের করবে।

দিবসটির তাত্পর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করেছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (স.) উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মুসলমান ভাইবোনদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ