শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হুন্ডি ও সন্ত্রাসে অর্থের প্রবাহ রোধে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১১

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বার্ষিক দ্বি-পাক্ষিক আন্তর্জাতিক ‘সন্ত্রাস বিরোধী অর্থায়নে ব্যাংকিং সংলাপ’ অনুষ্ঠানে হুন্ডি প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে অর্থের প্রবাহ রোধে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যের শার্লটি সিটিতে ৪ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের ২৭ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপে অংশ নেন।

সেখানে রূপালী ব্যাংকের এমডি এবং সিইও ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, নিত্য-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং তথা হুন্ডির গতিবিধিতেও পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। এর ফলে আমাদেরকেও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সাধ্যমত সচেষ্ট রয়েছি জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় মেধা ও শ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে সবকিছু সঠিক ট্র্যাকে রাখার জন্যে। এ অবস্থায় কাজের পরিধি বেড়ে গেছে। কর্মকর্তা পর্যায়েও সঙ্গতি রাখতে হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আতাউর রহমান প্রধান বলেন, মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে অর্থের প্রবাহ একেবারে থামিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশও যাতে অনুসরণ করতে পারে সে সংকল্প করছি। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সবকিছুরই উপযুক্ততা রয়েছে। অর্থাৎ অপরাধচক্রের গতিবিধির ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর সবকিছু ঢেলে সাজাতে পারবে।

জনতা ব্যাংকের এমডি ও সিইও এম এ সালাম বলেন, আর্থিক সেক্টরে স্বচ্ছতার প্রশ্নে এ ধরনের সংলাপের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরাও নিজ নিজ আঙ্গিকে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে নিয়ে এ নিয়ে আলোচনা করে থাকি।

বাংলাদেশ-আমেরিকান চেম্বার এন্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ যে সত্যিকার অর্থেই এগিয়ে চলছে তা মার্কিন মুল্লুকে এ ধরনের সংলাপ থেকেই অনুধাবন করা যায়।

এফবিআইসহ আইন ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারাও গভীর পর্যবেক্ষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি ও সিইও’র সাথে এই সংলাপে সুস্পষ্টভাবে জানালেন আর্থিক সেক্টরের ব্যবস্থাপনাতেও স্বচ্ছতার কথা। এ ধরনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীরা উৎসাহিত হবেন-এতে কোন সন্দেহ নেই।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান,বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্যাঙ্কার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরফান আলী।

ইত্তেফাক/এমআর