পদ্মা অয়েল কোম্পানির আর্থিক জালিয়াতিতে জড়িতরা পদোন্নতি পাচ্ছেন। প্রকল্প পরিচালকের পদসহ পদোন্নতিও পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে কোম্পানিতে অসন্তোষ দেখা দিলেও পরোয়া করছে না ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। দুদক কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করলেও অধরা রয়ে গেছেন অনেকেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের পদোন্নতি, ফের পদোন্নতির তোড়জোড় ছাড়াও একাধিক প্রকল্পের পিডি বা প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।
সূত্রমতে, মংলার এক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপমহাব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক হোসেন কোম্পানির এজিএম থাকা অবস্থায় আট কোটি সাতান্ন লাখ টাকার আর্থিক অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তাকে আবার একাধিক প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মংলা প্রকল্প ছাড়াও তাকে ঢাকায় পরীবাগ প্রকল্পেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: চালককে মিষ্টি কিনতে পাঠিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালালো নারী
সূত্র জানায়, কোম্পানির কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন পদোন্নতির জন্য গত ১০ এপ্রিল ’১৮ তারিখে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বরাবর আবেদন করলে তা নাকচ করে বলা হয়, এই আবেদন সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এরপরও কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে পদোন্নতি দেয়া হয় এবং খুলনায় তাকে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। অথচ কোম্পানির তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মোসাদ্দেক হোসেন কোম্পানির আট কোটি সাতান্ন লাখ টাকা ক্ষতির জন্য দায়ী। একই ব্যক্তিকে আবার মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে কোম্পানি সচিব কর্তৃক প্রেরিত অফিস আদেশে এই কমিটি ঘোষণার পর পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করেছে বলে সূত্র জানায়।
এরপরও গত ১৫ অক্টোবর তাকে আবার পরিবাগ প্রকল্পের পিডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা কোম্পানির কর্মকর্তাদের আরো বেশি হতাশ করেছে। শাস্তির বদলে পুরস্কার দেওয়ায় কোম্পানির অভ্যন্তরে যেমন ক্ষোভ বেড়েছে, তেমনি প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
ইত্তেফাক/বিএ্ফ